সাহিত্যে আর্ট ও দুর্নীতি
সুবিধা ও প্রয়োজনের অনুরোধে সংসারে অনেক মিথ্যাকেই হয়ত সত্য বলে চালাতে হয়, কিন্তু সেই অজুহাতে জাতির সাহিত্যকেও কলুষিত করে তোলার মত পাপ অল্পই আছে। আপাত-প্রয়োজন যাই থাক, সেই সঙ্কীর্ণ গণ্ডী হতে একে মুক্তি দিতেই হবে।
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে। প্রাথমিক শিক্ষা হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুল ও ভাগলপুরের দুর্গাচরণ এম ই স্কুলে। তারপর টিএন জুবিলি কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাসের পর একই কলেজে এফএ শ্রেণিতে ভর্তি হলেও দারিদ্রের কারণে তাঁর শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি ঘটে। তাঁর কৈশোর ও প্রথম যৌবন কাটে ভাগলপুরে মাতুলালয়ে। অধ্যয়নে ছেদ পড়ার পর তিনি বনেলি স্টেটে সেটেলমেন্ট অফিসারের সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের অনুবাদক এবং বার্মা রেলওয়ের হিসাব দপ্তরের কেরানি পদে চাকরি করেন। এক সময় তিনি সন্ন্যাসীদলে যোগ দেন এবং গান ও নাটকে অভিনয় করেন। ১৯২১ সালে কংগ্রেসের অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন এবং হাওড়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর গল্প-উপন্যাসের মূল বিষয় মানুষ, জীবন ও সমাজ। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : ‘বড়দিদি’, ‘বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য’, ‘পরিণীতা’, ‘বৈকুণ্ঠের উইল’, ‘পল্লীসমাজ’, ‘দেবদাস’, ‘চরিত্রহীন’, ‘নিষ্কৃতি’, ‘শ্রীকান্ত (৪ খণ্ড)’, ‘দত্তা’, ‘গৃহদাহ’, ‘দেনা-পাওনা’, ‘পথের দাবী’, ‘শেষ প্রশ্ন’, ‘বিরাজবৌ’ ইত্যাদি। ‘পথের দাবী’ উপন্যাসটি বিপ্লববাদীদের প্রতি সমর্থনের অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করে। লিখেছেন ‘নারীর মূল্য’, ‘স্বদেশ ও সাহিত্য’ প্রভৃতি প্রবন্ধগ্রন্থ। মৃত্যুর পরও তাঁর অনেক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। চিত্রাঙ্কনেও দক্ষ ছিলেন তিনি। বার্মায় বসবাসকালে তাঁর অঙ্কিত ‘মহাশ্বেতা’ অয়েল পেন্টিং একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম। সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য পেয়েছেন কুন্তলীন পুরস্কার, জগত্তারিণী স্বর্ণপদক, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্যপদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট উপাধি। ১৯৩৮ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.