নটনটীদের ভাবমূর্তি
হে অপর্ণা, পুঁজিপতি যেমন তাহার পুঁজিটিকে পাহারা দেয়, সুদখোর যেমন তাহার পাওনা সুদের পশ্চাদ্ধাবন করে, নটনটীগণও সেইরূপ তাহাদের ইমেজ রক্ষা করিতে শশব্যস্ত।
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
মনোজ মিত্র স্বাধীনতা-পরবর্তী ভারতীয় নাট্যকারদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর নাটকে স্বাধীনতোত্তর ভারতের সমাজ সমস্যা, সমাজ মনস্তত্ব, ব্যক্তির সমকালীন ও চিরকালীন সংকট নানা ভঙ্গিমায় প্রকাশ পেয়েছে। শুধু বিষয়বস্তুগত বৈচিত্র্য নয়, আঙ্গিকের ক্ষেত্রেও তার স্বতন্ত্রতা লক্ষণীয়। তাঁর নাটক শুধু নাটক নয়, সাহিত্য পাঠেরও স্বাদ দেয়। সংলাপে যেমন রয়েছে নাট্যগুণ, তেমনি রয়েছে সাহিত্যের গুণ। বিশেষ ‘ইজম’ নয়, মানবিকতাবোধেই তাঁর নাটকের সেরা হাতিয়ার। তাঁর অন্যতম বিখ্যাত নাটক ‘সাজানো বাগান’ এবং পরবর্তীতে সেই নাটক থেকেই নির্মিত ছবি ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ এখনও বাঙালি দর্শকের কথায় ফিরে ফিরে আসে। তাঁর প্রথম রচিত নাটক ‘মৃত্যুর চোখে জল’। লিখেছেন একশো পঁচিশটির মতো নাটক, যার মধ্যে রয়েছে ‘অশ্বত্থামা’, ‘কেনারাম বেচারাম’, ‘দম্পতি’, ‘পাহাড়ী বিছে’, ‘পরবাস’, ‘চাক ভাঙা মধু’, ‘কাক চরিত্র’, ‘রঙের হাট’, ‘তক্ষক’, ‘অশ্বত্থামা’, ‘মেষ ও রাক্ষস’, ‘যা নেই ভারতে’, ‘ভেলায় ভাসে সীতা’, ‘নৈশভোজ’, ‘গল্প হেকিমসাহেব’, ‘ছায়ার প্রাসাদ’, ‘নরক গুলজার’, ‘শোভাযাত্রা’, ‘রাজদর্শন’, ‘অলকানন্দার পুত্রকন্যা’, ‘কিনু কাহারের থেটার’, ‘দেবী সর্পমস্তা’–র মতো কালজয়ী সব নাটক। বহু ভারতীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর নাটক। নাটককারের পাশাপাশি তিনি বাংলা থিয়েটার ও চলচ্চিত্রের সুপরিচিত অভিনেতা। তাঁর নাটকের দলের নাম ‘সুন্দরম’, নাট্য নির্দেশনাতেও মনোযোগী সমানভাবে।
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.